শ্রী শ্রী শংকর মঠ
অবস্থানঃ
জেলাঃ বরিশাল
গ্রামঃ নতুন বাজার
ইতিহাসঃ
নগরীর প্রাণকেন্দ্র বিএম কলেজ রোডে নানা উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে বরিশালে ব্রিটিশ আমল থেকেই শ্রী শ্রী শংকর মঠটি এক চিত্তে দাঁড়িয়ে আছে। শংকর মঠটি মুলত ব্রিটিশ শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো এবং অযত্ন, অবহেলা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণতার রুপ নেয়। তৎকালীন ব্রজমোহন বিদ্যালয় এর শিক্ষক সতীশ চন্দ্র মুখোপ্যাধায় ১৯১০ সালেে প্রায় ৩.৫ একর জায়গার উপরে ঐতিহ্যবাহী শংকর মঠ নামে এই আশ্রমটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে এই শংকর মঠটি প্রতিষ্ঠা করা্র প্রধান কারণ হিসেবে জানা গিয়েছিলো যে, রাজনৈতিক চেতনায় যুব সম্প্রদায়কে উজ্জীবিত করার জন্য সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ভারতবর্ষ স্বাধীনতা আন্দোলনের কাজ চালানো।
১৯০৮ সনের শেষে দিকে পণ্ডিত সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ব্রজমোহন স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ব্রহ্মচারী হিসাবে তার আচার, আচরণ পোশাক ও পরিচ্ছদ ছিল অতি সাধারণ। ব্রজমোহন কলেজে প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি এবং ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান হতো, সেই সাথে সংস্কৃত ভাষায় পাঠ হতো ভাগবৎ স্ত্রোত্র। তখন বৃটিশ রাজ্যের পাল্লায় পড়ে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অশ্বিনী কুমার দত্তের বিভিন্নমুখী কর্মকাণ্ড বাঁধার সৃষ্টি হতে লাগল। যার ফলশ্রুতিতে প্রশাসনিক বিরোধিতার কারনে যেকোন মহৎ কাজ সুষ্ঠুভাবে পালন করা সম্ভব হচ্ছিলো না।
অক্সফোর্ড মিশনের মি. স্ট্রং পরামর্শ দ্বিয়েছিলো বিএম কলেজকে সরকারি সাহায্য লাভ করে দিবে কিন্তু এর বিনিময়ে পরিচালনার দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে এবং বিষয়টি সতীশ বাবুর মনপুত ছিল না। তিনি এর বিরোধিতাও প্রকাশ্যে করতে পারলেন না কারন এখতিয়ার বহির্ভূত বলে এ জন্য তিনি মনের কষ্টে সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বিএম স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিলেন।
এর পরেই সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় কিছুটা ধর্ম সাধনার প্রতি অনুরাগী হলেন এবং চলে এলেন কাশীতে সংস্কৃত শিক্ষা লাভের জন্য। এখানে এসে তিনি বেদ অধ্যয়ন করতেন এবং অন্যকেও শিক্ষা দিতেন। কাশী থেকে ফিরে এসে তিনি পরিপূর্ণভাবে এক সন্ন্যাসীরূপে সমাজে পরিচিতি লাভ করলেন, নাম ধারণ করেন স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী। স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী নামেই সকলে চিনত তাঁকে। ডিসেম্বর, ১৯১১ ইং সনের স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ গয়াধামে গিয়ে মহাতাপস স্বামী শংকরার্যের নিকট দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। সন্ন্যাসী প্রজ্ঞানানন্দর ছিলো গৈরিক বসন, গৈরিক উত্তরীয় এবং হাতে কমন্ডলু। এরপর সন্ন্যাসী প্রজ্ঞানানন্দ একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করার সংকল্প নিলেন এবং সেই লক্ষ্যে বিএম কলেজের সন্নিকটে রাস্তার পাশের একটি সম্পত্তি কেনার চিন্তা করে সম্পত্তির মালিকের কাছে গেলেন। কিন্তু সম্পত্তির মালিক তার কাছে সম্পত্তি বিক্রি করতে রাজি ছিলেন না পরবর্তীতে রাজি করিয়েছিলেন অগ্নিযুগের বিপ্লবী সৈনিক দেবেন্দ্র নাথ ঘোষ, যিনি ছিলেন অনুশীলন কমিটির সক্রিয় সদস্য ।সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ১৯১২ সালে জায়গাটি ক্রয় করেন এবং সম্পত্তির উপর গড়ে তুলেন এক আশ্রম, যার নাম দেয়া হয় শ্রীশ্রী শংকর মঠ। আশ্রমের উদ্দেশ্য ছিল স্বাদেশিকতা, ভারত মাতার মুক্তির সংগ্রাম। আশ্রমটিতে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পূজা অর্চনা হতো । তখনকার গোয়েন্দা বিভাগ বিষয়টি জানতে পেরেছিলো যে, আশ্রমের নাম দিয়ে এখানে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তাই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখার জন্য শ্রীশ্রী শংকর মঠের ঠিক রাস্তার ওপারেই গোয়েন্দারা একটি গোয়েন্দা অফিস স্থাপন করে।
সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় (স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী) ১৯১৫ সনে যখন কাশীতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি সেখানে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৪ বছর পর ১৯১৯ সনে তিনি অন্তরীণ অবস্থা থেকে মুক্তি লাভ করেন। মুক্তি লাভের পরই সরাসরি তিনি বরিশালে শ্রীশ্রী শংকর মঠে চলে আসেন। পরবর্তীতে যাতে কেউ শ্রীশ্রী শংকর মঠ আশ্রমের সম্পত্তি (স্থাবর-অস্থাবর) কোন ওয়ারিশ দাবি না করতে পারে, এ জন্য আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন এবং শ্রীশ্রী শংকর মঠ আশ্রমের নামে ট্রাস্টি ডিড করে যান।
স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯২১ সালের কলকাতায় থাকাকালে পরলোক গমন করেন এবং ভোলাগিরি মহারাজের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রজ্ঞানান্দের মরদেহকে ৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে আনা হয় এবং তারই প্রতিষ্ঠিত শংকর মঠে সমাধিস্থ করা হয়। শংকর মঠের ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব আনেক বলে বিশিষ্টজনদের মতামত।
শংকর মঠের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সনে। ১৯৪৭ সনে ও পরবর্তীতে ১৯৫০ এর দাঙ্গার ফলে শহরটিতে বসবাসকারী বহু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক শহরের বাড়িঘর ত্যাগ করে দেশান্তরিত হয়েছিলেন। জীবিতাবস্থায় সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ট্রাস্টি কমিটি গঠন করেছিলেন শংকর মঠের সম্পত্তি রক্ষার নিমিত্তে। কিন্তু যেসকল ব্যক্তির নামে ডিড করা হয়েছিলো তাঁরা সবাই ১৯৫০ ও ১৯৬৪ সনে দাঙ্গার পর স্বদেশভূমি ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। তখন কাউকে না পেয়ে এই বিশাল ভূসম্পত্তি রক্ষার্থে এবং স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতীর আদর্শ ও উদ্দেশ্য বজায় রাখতে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে এসেছিলেন। আইনজীবী অবনী নাথ ঘোষ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী সৈনিক দেবেন্দ্র নাথ ঘোষসহ অনেকেই ছিলেন।
পরিত্যক্ত এ সম্পত্তির আশেপাশে লোক বসতি ছিল না, ছিলো না পূজা অর্চনা ও সন্ধ্যায় ধূপ দীপ প্রদান করার মত অবস্থা। মালিকবিহীন পরিত্যক্ত সম্পত্তি অবহেলিত অবস্থায় পড়েছিল অনেকদিন। ১৯৮২ সনে কিছু ব্যক্তি মিলে বিশাল এ সম্পত্তি গ্রাস করার পরিকল্পনা করেছিলো ও এর জন্য নানাভাবে দুরভিসন্ধিমূলক কাজকর্ম শুরু করেছিলো। মিথ্যা মামলা ও রাজস্ব বিভাগের দুষ্ট কর্মচারীদের সাথে আতাত করে তারা অনেকটা সফল হয়েছিলো বটে, কিন্তু তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কাছে এই দেবোত্তর সম্পত্তি অবমুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলো স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেন এবং তার পিএ কে জরুরিভিত্তিতে অবমুক্ত করার আদেশ দেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অল্প দিনের মধ্যেই এ সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে ঝামেলা মুক্ত হয়েছিলো। এরপরই ১১ সদস্যবিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছিলো স্বর্গীয় বিপ্লবী দেবেন্দ্র নাথ ঘোষ ছিলেন সভাপতি। রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত হয়ে নতুন সূর্য উদিত হল শ্রীশ্রী শংকর মঠে। অতঃপর নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, ভুল বোঝাবুঝিতে ব্যহত হয়েছিল এর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড। পরবর্তীতে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে এসে সমস্ত অব্যবস্থা দূর করে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও একটি সাংগঠনিক নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলেন।
গঠনতান্ত্রিক নীতিমালা প্রণয়ন করার নিমিত্তে পণ্ডিত স্বর্গীয় মনীন্দ্র নাথ সামাজদার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিখিল সেনের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিলো। তারপর নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে প্যানেলভুক্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে এ্যাড. শান্তি রঞ্জন চক্রবর্তী ও হিমাংশু দাশ গুপ্ত (নাথুকে) সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত করা হয়। শ্রীশ্রী শংকর মঠ ও আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ২১ জন। শ্রীশ্রী শংকর মঠ প্রতিষ্ঠানটি নবজীবন লাভ করে। নবগঠিত কমিটির দায়িত্ব লাভের পরই শুরু হল শংকর মঠের উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপক আয়োজন। তাদের মাধ্যমে মন্দির সংস্কার মন্দির অভ্যন্তরে রাস্তা ঘাটের সুব্যবস্থা, বন জঙ্গল পরিষ্কার, ছাত্রাবাসের পরিবেশ সুন্দর ও বাস উপযোগীকরণ প্রধান গেট সম্পূর্ণ নতুনভাবে নির্মাণ, চতুর্দিকে প্রাচীর বেষ্টন। পুকুরের ঘাটলা বাঁধানো এবং আরও বিভিন্ন ধরনের সংস্কারমূলক কাজ অল্প দিনের মধ্যেই সমাধা করা হয়। শংকর মঠ মন্দিরটিকে ১৯ শতকের শেষের দিকে পুনরায় সংস্কার করা হয়। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট বর্তমানে শংকর মঠের শীর্ষে স্থাপিত রয়েছে ধাতু নির্মিত ‘ওঁ’ চিহ্ন এবং একটি ত্রিশূল। শংকর মঠের অভ্যন্তরে রয়েছে তিনটি কক্ষ, মূল কক্ষে একটি কষ্টিপাথরে নির্মিত শিবলিঙ্গ রাখা আছে। আর দুইপাশের কক্ষগুলোতে আছে জগৎগুরু শংকরানন্দের বিগ্রহ এবং অন্যটিতে স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতীর সমাধি মন্দির।
শ্রীশ্রী শংকর মঠের পূর্বদিকে প্রায় এক একরের মত খালি জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকত। এ সম্পত্তি শ্রীশ্রী শংকর মঠের অন্তর্ভুক্ত যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘ইসকন’ নামক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছিলো। শ্রীশ্রী শংকর মঠ সংলগ্ন রাধা শ্যামসুন্দর মন্দির (ইসকন) থেকে মহা আড়ম্বরের সাথে শুরু হল শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব এবং জাঁকজমকের সাথে উৎসাহ উদ্দীপনায় এই রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
শংকর মঠে ১৯৯৯ সালে পরিমল চন্দ্র দাস দুর্গামন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে মন্দিরের ট্রাস্ট কমিটি ২০০৬ সালে শ্রীশ্রী কালীমাতার মন্দির এবং পরবর্তীতে পরিমল চন্দ্র দাস ২০১৬ সালে মনসা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মঠের মোট ৪ মন্দিরে বার্ষিক পূজাসহ এখানে প্রতিদিনই পূজা অর্চনা করা হয়।
জেলা শহর হতে যাওয়ার উপায়:
বরিশাল শহরের নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে এসে রিকশা বা লোকাল সিএনজি যোগে ২০ টাকা ভাড়ায় বিএম কলেজ রোডে আসতে হবে, দূরত্ব প্রায় ১ কিলোমিটার। কলেজ রোডে এসে মেঘনা পেট্রোল পাম্পের সামনেই শ্রীশ্রী শংকর মঠ।


শ্রী শ্রী চিন্তাহারী সাধনপীঠ
শ্রী শ্রী চিন্তাহারী সাধনপীঠ যোগাশ্রম অবস্থানঃ জেলাঃ চট্টগ্রামউপজেলাঃ বাঁশখালীঅবস্থানঃ জঙ্গলজলদিইতিহাসঃবাঁশখালী উপজেলার জঙ্গলজলদি একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল। সেই স্থানটি হিংস্র বন্যপ্রাণী ও



শ্রীমৎ স্বামী তারানন্দ মহাকালী
শ্রীমৎ স্বামী তারানন্দ মহাকালী যোগাশ্রম অবস্থানঃজেলাঃ চট্টগ্রামউপজেলাঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনগ্রামঃ মোহরা (কালুরঘাঠ) চাদগাঁওইতিহাসঃকর্ণফুলী-হালদার মিলনস্থলে কালুরঘাট রেলসেতুর উওরপার্শ্বে কর্ণফুলী নদীর পাশে

শ্রী শ্রী চন্দ্রনাথ ধাম
শ্রী শ্রী চন্দ্রনাথ ধাম অবস্থানঃ জেলাঃ চট্টগ্রামউপজেলাঃ সীতাকুণ্ডগ্রামঃচন্দ্রনাথ পাহাড়ের অবস্থান চট্টগ্রাম জেলা শহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

পুঠিয়া বড় শিব মন্দির
পুঠিয়া বড় শিব মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ রাজশাহীউপজেলাঃ পুঠিয়াগ্রামঃ পুঠিয়ারাজশাহী শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিখ্যাত পুঠিয়া রাজবাড়ি দিকে এগোতে

পাতালপুরী উল্টা কালী বাড়ি
শ্রী শ্রী পাতাল পুরী উল্টা কালী বাড়ি অবস্থানঃ জেলাঃ চট্টগ্রাম উপজেলাঃ সীতাকুণ্ড এলাকাঃ চন্দ্রনাথ ধাম। এই চন্দ্রনাথ পাহাড়টি চট্টগ্রাম শহর



শ্রী শ্রী চিনিশপুর কালী
শ্রী শ্রী চিনিশপুর কালী মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ নরসিংদী উপজেলাঃ নরসিংদী সদর গ্রামঃ চিনিশপুর ইতিহাসঃ বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি


শিকারপুর উগ্রতাঁরা মন্দির
সুনন্দা, ভৈরব, ত্রম্ব্যক, শিব, উগ্রতাঁরা দুর্গা ও কালী মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ বরিশাল। উপজেলাঃ উজিরপুর। গ্রামঃ মুন্ডপাশা পোস্ট অফিসঃ শিকারপুর, তারাবাড়ী।

ব্রহ্মনির্বাণ তীর্থ শ্রী শ্রী
ব্রহ্মনির্বাণ তীর্থ শ্রী শ্রী তুলসীধাম অবস্থানঃ জেলাঃ চট্টগ্রাম নন্দনকানন,চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনইতিহাসঃমোগল বাহিনীর হিন্দীভাষী রামভক্ত হিন্দুস্থানী সৈনিকদের আরাধনাস্থল হিসাবে ১৭২০ খ্রিস্টাব্দে মহাত্মা


শ্রী শ্রী কালী ও
শ্রী শ্রী কালী ও শীতলা মাতার মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ বরিশাল। উপজেলাঃ বরিশাল সদর। অবস্থানঃ অমৃত লাল দে সড়ক, রায় রোড, বরিশাল সিটি

বার্থী শ্রী শ্রী তারা
বার্থী শ্রী শ্রী তারা মায়ের মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ বরিশাল। উপজেলাঃ গৌরনদী। অবস্থানঃ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। ইতিহাসঃ ধারনা করা হয়

মহাতীর্থ শ্রীশ্রী সাধুবাবা তারাচরণ
মহাতীর্থ শ্রীশ্রী সাধুবাবা তারাচরণ সিদ্ধাশ্রম অবস্থানঃ জেলাঃ চট্টগ্রাম উপজেলাঃ পটিয়া গ্রামঃ ধলঘাট ইতিহাস: পটিয়া তথা দক্ষিন চট্টগ্রামের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী


শ্রী শ্রী বুড়াকালী মায়ের
শ্রী শ্রী বুড়াকালী মায়ের বিগ্রহ মন্দির অবস্থান: জেলাঃ চট্টগ্রাম উপজেলাঃ পটিয়া গ্রামঃ ধলঘাট ইতিহাস: চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার ধলঘাট

শ্রী শ্রী কাঁলাচাদ ঠাকুরবাড়ী
শ্রী শ্রী কাঁলাচাদ ঠাকুরবাড়ী অবস্থানঃ জেলাঃ চট্টগ্রাম উপজেলাঃ বোয়ালখালী কানুনগোপাড়া গ্রামে অবস্থিত। ইতিহাসঃ ‘শ্রীশ্রী লক্ষ্মী-জনার্ধন বাসুদেব’ কালাচাঁদ ঠাকুরের পূর্বনাম ছিলো।

জগন্নাথ মন্দির বা সতেরো
জগন্নাথ মন্দির বা সতেরো রত্ন মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ কুমিল্লাসতেরো রত্ন মন্দিরটি কুমিল্লা জেলাশহর থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিন পূর্বে জগন্নাথপুর (খামার


এগারো শিব মন্দির
এগারো শিব মন্দির অবস্থানঃজেলাঃ যশোরউপজেলাঃ অভয়নগরগ্রামঃ অভয়নগরইতিহাসঃপ্রতাপশালী যশোর রাজ্যের রাজা প্রতাপাদিত্য মুঘল শাসন আমলে মুঘলদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত ও বন্দী

চারণ কবি মুকুন্দ দাস
চারণ কবি মুকুন্দ দাস প্রতিষ্ঠিত কালী মন্দির অবস্থানঃজেলাঃ বরিশাল। উপজেলাঃ বরিশাল সদর। নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিআরটিসি বাসের ডিপোর পাশে।ইতিহাসঃ১৯১৬ সালে চারণ সম্রাট


শ্রী শ্রী রাউজান জগৎপুর
শ্রী শ্রী রাউজান জগৎপুর আশ্রম অবস্থানঃ জেলাঃ চট্টগ্রাম উপজেলাঃ রাউজান রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক থেকে উত্তর দিকে এবং চুয়েট ও

বরিশাল মহাশ্মশান
বরিশাল মহাশ্মশান অবস্থানঃজেলাঃ বরিশালউপজেলাঃ বরিশাল সদরইতিহাসঃ বরিশালের ইতিহাস ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতীক - উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ শ্মশান "বরিশাল মহাশ্মশান"। বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্র

বরিশাল রামকৃষ্ণ মিশন
বরিশাল রামকৃষ্ণ মিশন অবস্থানঃজেলাঃ বরিশালউপজেলাঃ বরিশাল সদরইতিহাসঃশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আদর্শ প্রচারের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৭ সালে গড়ে তোলেন

শ্রীশ্রী তাঁরাবাড়ি মন্দির
শ্রীশ্রী তাঁরাবাড়ি মন্দির অবস্থানঃজেলাঃ ঝালকাঠি।উপজেলাঃ নলছিটি।এলাকাঃ হাসপাতাল রোড।ইতিহাসঃনলছিটির প্রাচীন নির্দশনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো শ্রীশ্রী তাঁরা মন্দির। জনশ্রুতিমতে, রাজা রাজবল্লভের

শ্রী শ্রী পুণ্ডরীক ধাম
শ্রী শ্রী পুণ্ডরীক ধাম অবস্থানঃজেলাঃ চট্টগ্রামউপজেলাঃ হাটহাজারীমেখল গ্রামের অন্তর্গত।ইতিহাসঃদ্বাপরযুগে বৃন্দাবনের বৃষভানু মহারাজই এই কলিযুগে পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি মহাশয়রুপে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার


সরকার মঠ বা মাহিলাড়া
সরকার মঠ বা মাহিলাড়া সরকার মঠ অবস্থানঃজেলাঃ বরিশালউপজেলাঃ গৌরনদী"মাহিলাড়া সরকার মঠ" মাহিলাড়া গ্রামে অবস্থিত, যা বরিশাল বিভাগের গৌরনদী উপজেলার অন্তর্গত।ইতিহাসঃসরকার মঠটি ১৭৪০-১৭৫৬ সালের

শ্রী শ্রী গোবিন্দ ও
শ্রী শ্রী গোবিন্দ ও দুর্গামাতা মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ রাজশাহী উপজেলাঃ বাগমারা রাজা কংস নারায়ণ রায় বাহাদুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শ্রী শ্রী

শ্রী শ্রী জোড় মন্দির
শ্রী শ্রী জোড় মন্দির বা যুগল শিব কালী মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ ময়মনসিংহ উপজেলাঃ মুক্তাগাছা মুক্তাগাছা শহরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের

শ্রী শ্রী রাধাকালাচাঁদ বিগ্রহ
শ্রী শ্রী রাধাকালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ টাংগাইল উপজেলাঃ মির্জাপুর জামুর্কি ইউনিয়নের পাকুল্লা নামক গ্রামে অবস্থিত। ইতিহাসঃ ১১৯৫ বঙ্গাব্দে টাংগাইলের

শ্রী শ্রী শংকর মঠ
শ্রী শ্রী শংকর মঠ অবস্থানঃজেলাঃ বরিশালগ্রামঃ নতুন বাজারইতিহাসঃনগরীর প্রাণকেন্দ্র বিএম কলেজ রোডে নানা উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে বরিশালে ব্রিটিশ আমল থেকেই শ্রী

শ্রী শ্রী কামাক্ষ্যা মাতার
শ্রী শ্রী কামাক্ষ্যা মাতার মন্দির অবস্থানঃজেলাঃ ময়মনসিংহউপজেলাঃ হালুয়াঘাট মুজাখালি গ্রামে অবস্থিত।ইতিহাসঃআসামের কামরুপ জেলার নীলাচল পর্বতে অবস্থিত শ্রী শ্রী কামরুপ কামাক্ষ্যা

গোসাইলডাঙ্গা শ্রী শ্রী শ্মশান
গোসাইলডাঙ্গা শ্রী শ্রী শ্মশান কালী বাড়ী অবস্থানঃ জেলাঃ চট্টগ্রামউপজেলাঃ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকাবি. নাগ. লেইন, গোসাইলডাঙ্গা, বন্দর এলাকা ।ইতিহাসঃ১৯৫৮ ইংরেজীর (১৩৬৪

শ্রী শ্রী চন্ডীতীর্থ মেধস
শ্রী শ্রী চন্ডীতীর্থ মেধস মুনির আশ্রম অবস্থানঃজেলাঃ চট্টগ্রাম উপজেলাঃ বোয়ালখালীচট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রীজ পার হয়ে বোয়ালখালী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮

সোনারং জোড়া মঠ ও
সোনারং জোড়া মঠ ও শ্যামসিদ্ধির মঠ অবস্থানঃজেলাঃ মুন্সীগঞ্জউপজেলাঃ টংগীবাড়িকালজয়ী বাঙালি সত্যেন সেনের সোনারং গ্রামে অবস্থিত।ইতিহাসঃবাংলাদেশের অষ্টাদশ শতাব্দীর একটি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন

শ্রী শ্রী মেহার কালিবাড়ি
শ্রী শ্রী মেহার কালিবাড়ি অবস্থান: জেলা: চাঁদপুর উপজেলাঃ শাহরাস্তি উপজেলা মেহার নামক এলাকায় অবস্থিত। ইতিহাসঃ বাংলাদেশের একটি প্রসিদ্ধ স্থান হলো

শ্রী শ্রী চট্টেশ্বরী কালীমাতা
শ্রী শ্রী চট্টেশ্বরী কালীমাতা মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ চট্টগ্রামউপজেলাঃ চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন এলাকাইতিহাসঃ চট্টেশ্বরী কালী মায়ের বিগ্রহ মন্দিরটি প্রায় ৩০০-৩৫০ বছর পূর্বে

শ্রী শ্রী যশোরেশ্বরী কালী
শ্রী শ্রী যশোরেশ্বরী কালী মন্দির অবস্থান: জেলাঃ সাতক্ষীরা উপজেলাঃ শ্যামনগর গ্রামঃ ঈশ্বরীপুর ইতিহাসঃ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পবিত্র তীর্থস্থান হলো

শ্রী শ্রী হান্ডিয়াল জগন্নাথ
শ্রী শ্রী হান্ডিয়াল জগন্নাথ মন্দির অবস্থান:জেলাঃ পাবনাউপজেলাঃ চাটমোহর উপজেলা সদরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে এর অবস্থান।গ্রামঃ হান্ডিয়ালইতিহাস:ত্রয়োদশ-চতুর্দশ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের অন্যতম

শ্রী শ্রী কালভৈরব নাটমন্দির
শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দির ও বিগ্রহ অবস্থানঃ-জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়ীয়াউপজেলাঃ সরাইলইতিহাসঃ- ব্রাহ্মণবাড়ীয়া শহরের উত্তর সীমানায় তিতাস নদীর পশ্চিম পার্শ্বে মেড্ডা গ্রামের একটি

বারদী লোকনাথ আশ্রম
বারদী লোকনাথ আশ্রম জেলাঃ নারায়ণগঞ্জউপজেলাঃ সোনারগাঁইউনিয়নঃ বারদী অবস্থানঃ বারদী বাজারের পশ্চিম-উত্তর কোণে গুরু ভগবান গাঙ্গুলীর দেহত্যাগের আগে বাবা লোকনাথ ও

কৈবল্যধাম
শ্রীশ্রীকৈবল্যধাম আশ্রম অবস্থানঃ চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের কর্নেলহাটের কাছে, ফিরোজ শাহ কলোনি শহরঃ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন জেলাঃ চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠান কালঃ ১৯৩০-এর ২৬শে

কান্তজীর মন্দির
কান্তজির মন্দির গ্রামঃ সুন্দরপুর ইউনিয়ন উপজেলাঃ কাহারোল উপজেলা জেলাঃ দিনাজপুর প্রতিষ্ঠান কালঃ ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দ ইতিহাসঃ দিনাজপুর জেলার কান্তনগর মন্দির উপমহাদেশের

আদিনাথ মন্দির
শ্রী শ্রী আদিনাথ মন্দির গ্রামঃ গোরকঘাটা ইউনিয়নের ঠাকুরতলা গ্রামে উপজেলাঃ মহেশখালী জেলাঃ কক্সবাজার প্রতিষ্ঠান কালঃ আদিনাথের গোড়াপত্তন কয়েক হাজার বৎসর