শ্রী শ্রী চন্দ্রনাথ ধাম
অবস্থানঃ
জেলাঃ চট্টগ্রাম
উপজেলাঃ সীতাকুণ্ড
গ্রামঃ
চন্দ্রনাথ পাহাড়ের অবস্থান চট্টগ্রাম জেলা শহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে।
ইতিহাসঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অবস্থিত চন্দ্রনাথ পাহাড় এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এই চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বিখ্যাত চন্দ্রনাথ মন্দির। বাংলাদেশের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে এটি একটি অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্র। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের গায়ে জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পৌরানিক স্মৃতি বিজড়িত অসংখ্য মঠ ও মন্দির। প্রতি বাংলা বছরের ফাল্গুন মাসে মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে এখানে এক বিরাট মেলার আয়োজন করা হয় যা “শিবচতুর্দশী” মেলা নামে পরিচিত। এসময় দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ নরনারী এবং সাধু-সন্ন্যাসীদের আগমন ঘটে। লোক লোকারণ্যে পাহাড়টি ভরে উঠে।
প্রবাদ আছে, নেপালের এক রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়ে পৃথিবীর পাঁচ কোণে পাঁচটি মহাদেবের মন্দির নির্মাণ করেন। এগুলো হল যথাক্রমে নেপালের “পশুপতিনাথ মন্দির”, কাশীর “বিশ্বনাথ মন্দির”, পাকিস্তানের “ভুতনাথ মন্দির”, বাংলাদেশের মহেশখালীতে “আদিনাথ মন্দির” এবং সীতাকুন্ডের “চন্দ্রনাথ মন্দির”।
প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ ও ইতিহাস অনুযায়ী, পুরাকালে এখানে মহামুনি ভার্গবের বসবাস ছিল। ভগবান শ্রীরামচন্দ্র তার বনবাসের সময় এখানে পদার্পণ করেছিলেন। তাদের আগমনের কথা জানতে পেরে ভার্গব মুনি তাদের স্নানের জন্য তিনটি কুন্ডের সৃষ্টি করেন। তারা এখানে পোঁছানোর পর দেবী সীতা সেগুলোর একটিতে স্নান করেছিলেন, এই কারনেই উক্ত কুন্ডের নামানুসারে এই জায়গার নামকরণ “সীতাকুণ্ড” করা হয় বলেই অনেকের ধারনা।
পুরাণমতে, মহাদেবপত্নী সতীর পিতা প্রজাপতি দক্ষ রাজা বৃহৎ এক যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন যেখানে তিনি মহাদেব ছাড়া অন্যান্য সব দেব-দেবীকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পতির এই অপমান সইতে না পেরে সতী সেই যজ্ঞের আগুনে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। মহাদেব তখন ক্রোধান্বিত হয়ে সতীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে প্রলয় নৃত্য করতে থাকেন। এমতাবস্থায় সৃষ্টি ধ্বংসের উপক্রম হলে ভগবান শ্রীহরি মহাদেবের প্রলয়নৃত্য থামানোর জন্য সুদর্শনচক্র দ্বারা সতীর দেহ খন্ড খন্ড করে ফেলেন। সতীর এই দেহাবশেষ ৫১ খন্ড হয়ে পৃথিবীর ৫১টি স্থানে পতিত হয়। যেসব স্থানে সতীদেহের ৫১ অংশ পতিত হয় ওইসব স্থানে একটি করে শক্তিপীঠ এর সৃষ্টি হয়। পুরাণ মতে, সতীর ডান হাত পড়েছিল সীতাকুন্ডের এই চন্দ্রনাথ পাহাড়ে। এই মহাপীঠস্থানে অধিষ্ঠিত্রী দেবী ভবানী ও পীঠ অধিষ্ঠিত্রা হিসেবে আছেন চন্দ্রশেখর ভৈরব শ্রী শ্রী ক্রমদীশ্বর স্বয়ম্ভুনাথ। চন্দ্রনাথ পর্বতে চন্দ্রশেখর ভৈরব অষ্টশক্তি, অষ্টমূর্তি সহিত স্বয়ং আবির্ভূত তাই ক্রমদীশ্বর শ্রী শ্রী স্বয়ম্ভুনাথ (স্বয়ম্ভুলিঙ্গ)।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, রাম, সীতা ও লক্ষণ বনবাসে থাকাকালীন সময় একবার এই স্থানে ভার্গব মুনির আশ্রমে এসেছিলেন। ধ্যানযোগে তাদের আসার সংবাদ পেয়ে ভার্গব মুনি তাদের স্নানের জন্য তিনটি উষ্ণ কুন্ডের সৃষ্টি করেন। তবে কুন্ডগুলো বর্তমানে জলশূন্য হয়ে গেছে। বর্তমানে এগুলো ইটের দেয়াল দ্বারা চিহ্নিত আছে। চন্দ্রনাথ মন্দির বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। এই মন্দিরের পাদদেশে রয়েছে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম, ক্রমধেশ্বরী কালী মন্দির, শ্রীরামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, ভোলানন্দগিরি সেবাশ্রম, গিরিশ ধর্মশালা, কাছারি বাড়ি, দোল চত্ত্বর, শনি ঠাকুর বাড়ি, প্রেমতলা, শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, এন. জি. সাহা তীর্থ যাত্রীনিবাস, বিবেকানন্দ স্মৃতি পঞ্চবটি, বিরুপাক্ষ মন্দির, গয়াক্ষেত্র জগন্নাথ মন্দির, অন্নপূর্ণা মন্দির ইত্যাদি। এখানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩টি সহ মোট ৬টি ধর্মশালা রয়েছে। এখানে অবস্থিত ব্যাসকুন্ডের পশ্চিম পাশে এক বিশাল বটবৃক্ষ রয়েছে যেটি “অক্ষয়বট” নামে পরিচিত। এছাড়া শম্ভুনাথ মন্দিরের উত্তর দিকে রয়েছে নারায়ণ ও অন্নপূর্ণা মন্দির, প্রতিদিন এখানে পুজার্চনা হয়। শম্ভুনাথ মন্দির থেকে বিরুপাক্ষ মন্দিরে যাওয়ার রাস্তায় একটি বড় পাথরখন্ড দেখা যেটি ‘‘ছত্রশিলা’’ নামে পরিচিত। চন্দ্রনাথ মন্দির বিরুপাক্ষ মন্দির থেকে প্রায় আধমাইল দূরে অবস্থিত। এটি মহাদেবের প্রধান মন্দির। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২০০-১৩০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই চন্দ্রনাথের মন্দির। মন্দিরটিতে প্রতিদিন পুজার্চনা হয়। চন্দ্রনাথ মন্দিরে যাওয়ার রাস্তায় বাম দিকে ৩০-৪০ সিঁড়ি নিচের দিকে নামলেই গয়াক্ষেত্র দেখা যায়, এখানেও একটি কুন্ড আছে। মন্থন নামক একটি নদী পূর্ব দিক হতে পশ্চিম দিকে বয়ে গেছে। এছাড়া শম্ভুনাথ মন্দিরে কাছে সীতা মন্দিরের সামনেই আছে হনুমান মন্দির। বিরুপাক্ষ থেকে চন্দ্রনাথে যাওয়ার পথে পূর্ব পাশে আধমাইল নিচে নামলে পাতালপুরী যাওয়া যায়। এখানে পাতালকালী, বিশ্বেশ্বর শিব, হরগৌরি, রুদ্রেশ্বর শিব, দ্বাদশ শালগ্রাম, অষ্টবসু, গোপেশ্বর শিব, মন্দাকিনী, পঞ্চানন শিব, পাতাল গঙ্গাসহ আরো অন্যান্য দেবদেবী রয়েছেন। তবে গভীর বনজংগল ও বিপদসংকুল যাতায়াত ব্যবস্থার কারনে অনেকে এখানে সহজে যেতে চান না। এছাড়া বিরুপাক্ষ মন্দিরে যাওয়ার পথে রাস্তার বাম দিকে একটি গুহার ভিতরে উনকোটি শিব অবস্থিত। প্রবাদ আছে যে, কোন একসময় এখান দিয়ে ৮টি নদী প্রবাহিত হত। এই স্থানটিও খুবই বিপদজনক। হিন্দুধর্মের অসংখ্য পৌরানিক ইতিহাস বয়ে চলেছে এই চন্দ্রনাথের পাহাড়।
জেলা শহর থেকে মন্দিরে পৌঁছানোর উপায়ঃ
চন্দ্রনাথ মন্দির দর্শনের জন্য প্রথমে চট্টগ্রাম শহরের অলঙ্কার মোড় বা সিটি গেইট বা কদমতলী থেকে বাসে করে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে সরাসরি সীতাকুণ্ড বাজার আসতে হবে। বাসে যেতে ৫০-৮০ টাকা ভাড়া পড়বে। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে জনপ্রতি ২০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় আসতে হবে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে বা প্রবেশ ফটকে। আপনি চাইলে সরাসরি মাইক্রো ভাড়া করেও যেতে পারেন।
পাহাড়ের পাদদেশ থেকেই মুলত ট্রেকিং শুরু হয়, প্রায় ১:৩০ ঘন্টা একটানা হাঁটার পর আপনি চন্দ্রানাথ ধামে পোঁছাতে পারবেন।

শিকারপুর উগ্রতাঁরা মন্দির
সুনন্দা, ভৈরব, ত্রম্ব্যক, শিব, উগ্রতাঁরা দুর্গা ও কালী মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ বরিশাল। উপজেলাঃ উজিরপুর। গ্রামঃ মুন্ডপাশা পোস্ট অফিসঃ শিকারপুর, তারাবাড়ী।


শ্রী শ্রী কালী ও
শ্রী শ্রী কালী ও শীতলা মাতার মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ বরিশাল। উপজেলাঃ বরিশাল সদর। অবস্থানঃ অমৃত লাল দে সড়ক, রায় রোড, বরিশাল সিটি

বার্থী শ্রী শ্রী তারা
বার্থী শ্রী শ্রী তারা মায়ের মন্দির অবস্থানঃ জেলাঃ বরিশাল। উপজেলাঃ গৌরনদী। অবস্থানঃ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। ইতিহাসঃ ধারনা করা হয়

চারণ কবি মুকুন্দ দাস
চারণ কবি মুকুন্দ দাস প্রতিষ্ঠিত কালী মন্দির অবস্থানঃজেলাঃ বরিশাল। উপজেলাঃ বরিশাল সদর। নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিআরটিসি বাসের ডিপোর পাশে।ইতিহাসঃ১৯১৬ সালে চারণ সম্রাট

বরিশাল মহাশ্মশান
বরিশাল মহাশ্মশান অবস্থানঃজেলাঃ বরিশালউপজেলাঃ বরিশাল সদরইতিহাসঃ বরিশালের ইতিহাস ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতীক - উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ শ্মশান "বরিশাল মহাশ্মশান"। বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্র

বরিশাল রামকৃষ্ণ মিশন
বরিশাল রামকৃষ্ণ মিশন অবস্থানঃজেলাঃ বরিশালউপজেলাঃ বরিশাল সদরইতিহাসঃশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আদর্শ প্রচারের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৭ সালে গড়ে তোলেন

শ্রীশ্রী তাঁরাবাড়ি মন্দির
শ্রীশ্রী তাঁরাবাড়ি মন্দির অবস্থানঃজেলাঃ ঝালকাঠি।উপজেলাঃ নলছিটি।এলাকাঃ হাসপাতাল রোড।ইতিহাসঃনলছিটির প্রাচীন নির্দশনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো শ্রীশ্রী তাঁরা মন্দির। জনশ্রুতিমতে, রাজা রাজবল্লভের


সরকার মঠ বা মাহিলাড়া
সরকার মঠ বা মাহিলাড়া সরকার মঠ অবস্থানঃজেলাঃ বরিশালউপজেলাঃ গৌরনদী"মাহিলাড়া সরকার মঠ" মাহিলাড়া গ্রামে অবস্থিত, যা বরিশাল বিভাগের গৌরনদী উপজেলার অন্তর্গত।ইতিহাসঃসরকার মঠটি ১৭৪০-১৭৫৬ সালের

শ্রী শ্রী শংকর মঠ
শ্রী শ্রী শংকর মঠ অবস্থানঃজেলাঃ বরিশালগ্রামঃ নতুন বাজারইতিহাসঃনগরীর প্রাণকেন্দ্র বিএম কলেজ রোডে নানা উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে বরিশালে ব্রিটিশ আমল থেকেই শ্রী